‘এক হাজার টাকা’ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সং.ঘ.র্ষ আহত ১৫

‘এক হাজার টাকা’ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ১৫



ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারইপাড়া গ্রামের লিখন একই গ্রামের ঝন্টু নামের এক ব্যক্তিকে এক হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে দুজনের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঝন্টুর ওপর হামলা চালায় লিখন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে ঝন্টু ও লিখনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমির জোয়ার্দ্দার, জান্নান মণ্ডল, সাকিব জোয়ার্দ্দার, সবুজ মণ্ডল, জাহানারা বেগম, হাজেরা খাতুন ও স্বপনসহ ১৫ ব্যক্তি আহত হন।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান কালবেলাকে জানান, পাওনা টাকা নিয়ে বারইপাড়া গ্রামে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো মামলা বা অভিযোগ করেনি।


কুমিল্লায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৩০



কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম রবি ও বিএনপির বারেক প্রধান গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। এদেরমধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মেঘনা উপজেলা মহিলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবা ইসলাম মিলিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবি ও বারেকের নেতৃত্বে দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীপথে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে সম্প্রতি এ অবৈধ অর্থের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। এর জের ধরেই মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষ বাধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে পুরো এলাকা আতঙ্কে ছেয়ে যায়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া সংঘর্ষের বিষয়ে বক্তব্য নিতে রবিউল ইসলাম রবি ও বারেক প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।





Previous Post Next Post