৮ উপদেষ্টা নিয়োগের খবর নিয়ে যা জানা গেল
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে শপথের জন্য ৮ জনের নামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনপত্রটি ভুয়া।
বুধবার (১২ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এমনটি জানিয়েছেন। অনুমোদনপত্রের ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ফেইক এন্ড ফেব্রিকেটেড অর্থাৎ ভুয়া ও বানোয়াট।
ভুয়া ওই অনুমোদন পত্রে বলা হয়, আগামী ২১ মার্চ শুক্রবার মো. ইমরান আলী, ইকবাল করিম ভূঁইয়া, মো. সেলিম হায়দার, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মোসাম্মৎ শামসুন নাহার, মোহাম্মদ আব্দুর রব, ড. মো. তৌহিদুল হাসান, মো. জুলফিকার আজিজকে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে শপথের জন্য কার্যকর করা হলো। প্রধান উপদেষ্টা আদেশক্রমে- ড. শেখ আব্দুর রশীদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রিসভা কিংবা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের শপথের পরই মূলত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এ ছাড়া এসব নিয়োগ হয় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে। কিন্তু ভুয়া অনুমোদন পত্রটিতে বলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার আদেশক্রমে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রতারক চক্র এটি তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।
ভ্যাট বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণচেষ্টা ব্যর্থ
জনগণকে সচেতন না করে ভ্যাট বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের কার্যকর কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ট্যাক্স বাড়িয়ে দিলে সিগারেটের ব্যবহার কমে যাবে। এজন্য গত ২০ বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ধারণা কাজ করছে না। হুট করে সিগারেট ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তামাকবিরোধী কার্যক্রমে সব সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে তামাকমুক্ত করতে নতুন ধারণা দরকার। এজন্য সবাই সচেতন থেকে দেশব্যাপী প্রচারণা চালাতে পারলে সিগারেট ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। উত্তম বিকল্প না ভেবে তামাক চাষিদের তামাক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব নয় বলেও জানান প্রেস সচিব।
কর্মশালায় বলা হয়, তামাক পণ্যের কর কাঠামো সংস্কার হলে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয় করা সম্ভব।
কর্মশালায় আরও বলা হয়, দেশের ২৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে ৯২ শতাংশ শিশুর মধ্যে নিকোটিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই তামাক পণ্যের কর কাঠামো সংস্কার প্রয়োজন। তা করা গেলে ৪১ লাখ ধূমপায়ী কমানো সম্ভব। তা ছাড়া সাড়ে ১৭ লাখ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যুরোধ করা সম্ভব।
ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডরূপ এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে বাংলাদেশ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়রের (ডরূপ) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এএইচএম নোমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ শফিকুল আলম।