চাঁদার জন্য যুবককে আটকে রেখে যুবদল নেতার মারধর
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রহিমের চাঁদার জন্য এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর রহিম ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়নের গোমকোট বাজারে জসীম নামের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন সাবেক এই যুবদল নেতা। মারধরের শিকার জসীমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুবদলের নেতা রহিমকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রহিমকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবদলের সাবেক নেতা আব্দুর রহিম নাঙ্গলকোট উপজেলার মোড্ডা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি মৌকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল হক।
জানা যায়, এর আগে চাঁদার জন্য জনৈক ব্যক্তিকে একটি দোকানে আটকে রেখে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রহিম। এমন ঘটনার ২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তবে মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে যুবদল নেতা রহিমকে একজনের সঙ্গে লাউডস্পিকারে মোবাইলে কথা বলতে শোনা যায়। মোবাইলের অপর পাশের ব্যক্তিকে রহিম বলছেন, ‘আপনি ২০ হাজার টাকা দিবেন। এসময় মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলে ওঠেন- আপনি তো আমার সঙ্গে চাঁদাবাজি করছেন। যুবদল নেতা রহিম বলে ওঠেন, আপনার সঙ্গে চাঁদাবাজি করল কে? চাঁদাবাজি করলে আপনি কবেই এই এলাকা থেকে আউট হয়ে যেতেন।
এসময় অপর পাশের ব্যক্তি বলেন- ‘চাঁদাবাজি না করলে আমি আমার তরফ থেকে যেটা দেব, আপনাকে সেটা নিতে হবে। আমি কী করি আপনি চিটাগং (চট্টগ্রাম) শহরে গিয়ে খবর নেন।’ এসময় যুবদল নেতা রহিম বলে ওঠেন- ‘আপনি চিটাগং শহরের অনেক বড় নেতা। আমি আপনার কাছে চাঁদা চাইছি? আপনি ৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন, আমার এখানে প্রোগ্রামে খরচ করলাম আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।
এরপর যুবদলের নেতা রহিম অপর ব্যক্তিকে অলেখ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে মোবাইল ফোন রেখে মোবাইলের অপর পাশের ব্যক্তির প্রতিনিধি এক যুবককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে একটি দোকান ঘরে ঢোকান। সঙ্গের একজনকে বেঁধে রাখতে নির্দেশ দেন। পরে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়।