সাভারে ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রলীগ কর্মী
সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সদ্যঘোষিত এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন একজন বিবাহিত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক সক্রিয় কর্মী।
জানা গেছে, গত ১৭ মে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের স্বাক্ষরে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আল মমিন আকন ও সহসভাপতি পদে মারুফ হাসানের নাম আসে। এরপর থেকে শুরু হয় সমালোচনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আল মমিন আকন বিবাহিত হলেও বিষয়টি গোপন রেখে কমিটিতে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে সহসভাপতি মারুফ হাসানকে আগে সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান অভির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে। মারুফের পরিবারও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ ধরনের অনুপ্রবেশ ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বিষয়টি জানতে আল মমিন আকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মারুফ হাসান দাবি করেন, ছবিটি ছয় বছর আগের। তখন আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। ডাক পেলে সবার সঙ্গেই যেতাম। গত পাঁচ বছর ধরে আমি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে আমরা কমিটি দিয়েছি। কমিটি ঘোষণার পর এসব তথ্য জানা গেছে। কেউ পরিচয় গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পদ নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে কমিটি থেকেও বহিষ্কার করা হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দিলেন জামায়াত আমির
দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে কাউকে কোনা ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না। এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেওয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।
তিনি লেখেন, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে বুধবারে (২৮ মে) ঢাকায় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবেই। আবারও আমরা বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয়, তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে, জাতীয় নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে আপনাদের সেই প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করবেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে বিএনপির একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। যেকোনো দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার নির্বাচিত সরকার। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। অল্প ও বেশি সংস্কারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে এ আলোচনা। মনে হচ্ছে সরকারের কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। আমরা দেখছি ১০ মাস পার হলেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করছে না সরকার। আমরা বলে দিতে চাই, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পলাতক স্বৈরাচারের পরে যেই সরকারের কাছে দেশের মানুষ আশা করেছিল যে আইনের প্রতি সম্মান থাকবে, আমরা দেখেছি আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, স্বৈরাচারের সেই একই যে ঘটনা, সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, যারা আদালতের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে, তাদের কাছ থেকে কতটুকু সংস্কার আশা করতে পারি- এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।
#News #Bangladesh #Breakingnews #Trend #BNP #JMB #BAL #NCP